সেলিব্রেটিরাও তো মানুষ। তাদের জীবনেও আমাদের মত হাসি-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা থাকে। কারও কারও সফল জীবনের পিছনে লুকিয়ে থাকে কত শত ট্রাজেডি। আজ বিখ্যাত ৪জন ব্যক্তির গল্প বলব যারা কখনও হাল ছাড়ার পাত্র ছিলেন না এবং আপনাকে সফলতা অর্জনের পথে অনুপ্রাণিত করবে।
১. জে.কে. রাউলিং
Photo credit: wikimedia.org |
একজন ব্রিটিশ লেখক, ছবি নির্মাতা, টেলিভিশন প্রয়োজক ও স্ক্রিন লেখক। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার বিখ্যাত ফ্যান্টাসি উপন্যাস হেরি পটার সিরিজের জন্য। রোলিং সদ্য বিবাহবিচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং সরকারী সহায়তায় জীবন ধারণ করতে লাগলেন, এমনকি নিজের সন্তানটির জন্যও খাবার যোগানো কষ্টকর হয়ে পড়ল। এটা ছিল ১৯৯৪ সালের ঘটনা যা রোলিংয়ের প্রথম হ্যারি পটার বই " হ্যারি পটার এবং দ্য ফিলোসফার স্টোন" প্রকাশের ঠিক তিন বছর আগে। তিনি বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে পড়লেন এক বিপাকে। তিনি এতোটাই অসমর্থ ছিলেন যে, উপন্যাসটি ফটোকপি করার বা একটি কম্পিউটার কেনার মত তার টাকা ছিল না। ৯০,০০০ শব্দের উপন্যাসটি নিজ হাতে টাইপ করে প্রকাশকদের কাছে প্রেরণ করলেন। কিন্তু অসংখ্যবার তিনি ব্যর্থ হলেন তার উপন্যাসটি রিজেকটেড হল।অবশেষে লন্ডনের এক ছোট প্রকাশক ব্লুমসবারির সিইওর আট বছরের কন্যা এটার প্রেমে পড়ে যাওয়ার দরুন উপন্যাসটি আলোর মুখ দেখে।
২. টাইলার পেরি:
Photo credit: wikimedia.org |
৩. অপরাহ উইনফ্রে
Photo credit: wikimedia.org |
৪.কর্নেল (হারল্যান্ড) স্যান্ডার্স
Photo credit: wikimedia.org |
কর্ণেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স ১৯৩০ সালে তাঁর বয়স যখন ৪০ বছর তখন তার রাস্তার পাশে শেল সার্ভিস স্টেশনে মুরগি রান্না শুরু করেন এবং তার আগে তিনি পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে বিভিন্ন কাজ থেকে বরখাস্ত হন। তার গ্যাস স্টেশনে আসলে কোনও রেস্তোঁরা ছিল না, তাই তিনি তার সংযুক্ত ব্যক্তিগত বাসস্থানে ডিনার পরিবেশন করেছিলেন। পরের ১০ বছরে, তিনি তার বিখ্যাত "সিক্রেট রেসিপি"
এবং চাপ ফ্রায়ার রান্নার পদ্ধতিটি নিখুঁতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বড় জায়গা জুড়ে রেস্টুরেন্ট চালু করেন। এমনকি তার মুরগির রেসিপি, সমালোচক ডানকান হাইনস দ্বারা মিডিয়াতে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। যাইহোক, আন্তঃরাষ্ট্রীয় কেনটাকি শহরে ঘোষণা এসেছিল যেখানে কর্নেলের রেস্তোঁরা ১৯৫০ এর দশকে ছিল, এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ট্র্যাফিকটি সরিয়ে নিয়েছিল, এবং কর্নেলকে তার ব্যবসা বন্ধ করে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি সামান্য পেনসনের টাকা দিয়ে কিভাবে জীবন যাপন করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি এমন রেস্তোঁরা সন্ধান করতে শুরু করলেন যারা তার গোপন রেসিপিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি করবেন এবং তিনি বিক্রি হওয়া প্রতিটি মুরগির জন্য একটি নিকেল চাইলেন। অবশেষে তার প্রথম ফ্রান্সাইজি খুঁজে পাওয়ার আগে তিনি এক হাজারেরও বেশি বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
Story Source: themuse.com
Categories:
অসাধারণ শিক্ষণীয় গল্প
Nice post শিক্ষনীয় গল্প amar onek valo laglo . Upnake onek onek donobad ei rokom golpo post korar jonno .
ReplyDelete