Latest

Sunday, August 9, 2020

 করোনা কালে মধ্যবিত্ত আমান সাহেবের দিনগুলি- Story of Mr. Aman during Lockdown for Covid-19

করোনা কালে মধ্যবিত্ত আমান সাহেবের দিনগুলি- Story of Mr. Aman during Lockdown for Covid-19

 করোনা কালে মধ্যবিত্ত আমান সাহেবের দিনগুলি 

সরকার ঘোষণা করেছে সাধারণ ছুটি আর অনেক জেলা বা অঞ্চলকে করেছে অবরুদ্ধ।  তবুও  কী থমকে দিতে পেরেছে করোনার ভয়াল গ্রাস।বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও ভাল। গণমাধ্যমে  তাকালেই যেন বিশ্বজুড়ে  করোনা মৃত্যুর মিছিল। উন্নত বিশ্বসহ সবাই যেন আজ উচ্চ সংক্রমণকারী এই ভাইরাসের পায়ে মাথা নত করেছে। বৈশ্বিক এই মহামারীতে আকাশের দিকে তাকিয়ে সবার মুখে একটি কথাই ধ্বনিত হচ্ছে "রক্ষা কর প্রভু"।

আসুন দেখি কেমন কাটছে বেসরকারি কর্মকর্তা আমান সাহেবের এক একটি দিন। সংস্থা বলেছে বাসায় থেকে অফিসের কাজ করেন যাতে বেতনটা হালাল হয়। বউ বলে অফিসতো অনেক হলো, এবার নাহয় গৃহস্থালির কাজে একটু মনোযোগ দাও। এক শতাব্দীতেও এমন সুযোগ আসেনা। কি আর করার স্ত্রী সন্তান ছাড়া আর কে আছে। তাই তাদের দাবিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই রীতিমতো সহধর্মিণীর পরামর্শক্রমে পনের দিনের অগ্রিম বাজার করা হল। দুঃখের বিষয় হল তার স্ত্রী আমিনার ফেসওয়াস আর কি জানি একটা ক্রিম আনা সম্ভব হয়নি। প্রিয়তমার হরিণী নয়ন দুটি যেন মূহুর্তেই ব্যাঘ্র চোক্ষে পরিণত হল। বুঝিয়ে বললো মুদি, কাঁচামাল আর ওষুধ ছাড়া সব দোকান বন্ধ। স্বামীকে ভালবাসে আবার শ্রদ্ধাও করে তাই স্ত্রী ভাবলো এই রূপ-সৌন্দর্য স্বামীর চললে তার রূপচর্চার দরকার কী।আর এমনি যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে বাচিঁ না মরি সেটাইতো বড় উদ্বেগের বিষয় সেখানে রূপ যৌবন মূখ্য নয়।সন্তান, স্বামী আর নিজের জীবন রক্ষার জন্য যেনো সে আল্লাহ্‌র কাছে ফরিয়াদ করে যাচ্ছে। সে বেশী উদ্বিগ্ন যে সন্তানের মাসখানেক এর মত স্কুল ছুটি, ছেলেটা কতদিন থেকে সূর্যালোকে খেলতে পারেনা সবসময় অজ্ঞাত জেদ করেই চলছে।  আমান সাহেব মানবিক সংস্থায় কাজ করে, মনটাও অনেক মানবিক, সুচরিত্রের অধিকারীও বটে। হাতে নগদ যা ছিল এমতাবস্থায় মানব কল্যাণে সে টাকা দান করেছে। একদিকে তার স্ত্রী-সন্তানসহ ছোট পরিবার নিয়ে করোনাভীতি আর অন্যদিকে দূরে অবস্থানরত মা-বাবা আর আপনজনদের নিয়ে চিন্তা। আবার বাসায় থাকলেও অফিস কাজের চাপ আছে, প্রয়োজনে মাঠে কাজে যেতে হবে সে তো এনজিওকর্মী। যেখানে রহিমের চা আর সহকর্মীদের সাথে খোশগল্প তার নিত্যদিনের মনের খোরাক যোগায় সেখানে পনের দিন ঘরবন্দী আমান যেনো জেল খানার পুরোনো কয়েদি।

জমজমাটপূর্ণ রহিমের দোকানটা  যেনো ধুধু শশ্মান হয়ে গেছে। সহকর্মীরা সবাই যেনো খিল লাগিয়ে ঘরে বসে আছে। সবার মনে যেনো এক করোনা বিষাদ বয়ে যাচ্ছে।

স্ত্রী সন্তানের শুষ্ক মুখটা দেখে নিজের খারাপ লাগাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। সন্তান যখন বলে কবে বাইরে ঘুরতে যাব, আমান নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, যখন বলে আমার সবাই কি মরে যাবো, ছোটদেরও কি করোনা হয়?নির্বাক আমান অশ্রু ধরে রাখতে পারেনা। একটিমাত্র ছেলে যেনো তার কলিজার টুকরা। পাচঁ বছরের সন্তানের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। কিভাবে উত্তর দিবে পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানী মিলে একটি প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি এখনও। আমান নিজেকে সান্ত্বনা দেয় যে করোনা রোগ এত ভয়াবহ নয় যে হলেই মরতে হবে কেননা এর মৃত্যুহার শতকরা পাচঁ থেকে দশ ভাগের বেশি নয়। নব্বই থেকে পঁচানব্বই ভাগ মানুষতো বেচেঁ থাকবে আর মরতেতো হবেই একদিন। জীবনে অনেক ছুটি কাটিয়েছে সে। ঈদের ছুটি, পুজোর ছুটি হরেক রকম ছুটি। ছুটি মানেই যেনো আনন্দের পসরা। ছুটি মানেই যেনো পরিবারসহ কেনাকাটা, বিশেষ খাওয়া দাওয়া, ঘুরতে যাওয়া আর আপনজনদের খবর নেয়া। কিন্তু এবারের ছুটি যেনো দুঃখ বেদনা আর বিষাদের সবচেয়ে খারাপ রূপটি নিয়ে উদ্ভূত হয়েছে ।

করোনাময় দিনগুলি করুণাময়ের দয়ায় কোনোভাবে কেটে যাচ্ছে তার। তিন বেলা খাওয়া, টেলিভিশনে করোনা খবর দেখা আর ফেসবুকের আজব গুজব করোনা লেখা করোনা গান শুনে আর করোনা ভিডিও দেখে কাটছে, সাথে বাড়িভিত্তিক অফিসের কাজ। আগে ছুটি শেষে ওজন বাড়লেও এবার তার ব্যতিক্রম, গড়ে এক দুই কেজি করে কমে গেছে। খাবার খেলেও যেনো শরীরে কাজে দিচ্ছে না, এক অদৃশ্য পিড়া যেনো পুষ্টি টেনে নিচ্ছে। আমিনাকে স্লিম শরীরে আকর্ষণীয় লাগলেও ওটাতো প্রকৃত না বরং করোনা ভয়ে সৃষ্ট বলে মনে হয়। ছেলেটার রুচি নেই, জেদ বেরেছে, কতদিন ঘরে রাখা যায়।

এখন তার একটি চাওয়া , করোনা যেনো না ছড়াতে পারে। তার চোখেমুখে প্রশ্ন, কবে সবাই আগের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করব? কবে ছোট্ট শিশুগুলো বাইরে খেলাধুলা করব? কবে রহিমের চা দোকানগুলো আবারও জমজমাট হবে? পরিস্থিতি কি আরও খারাপ হতে পারে? আর দিনমজুর দের ভাতের জন্য কাজের অভাব হবেনা?

Saturday, June 13, 2020

হার্ড ইমিউনিটি- কত প্রাণের বিনিময়ে তা অর্জন সম্ভব? Bangla Science Fact on Herd Immunity

হার্ড ইমিউনিটি- কত প্রাণের বিনিময়ে তা অর্জন সম্ভব? Bangla Science Fact on Herd Immunity

herd-immunity-in-bangla-latest-new-science-on immunilogy
Image by Erico ericojr from Pixabay

হার্ড শব্দটির অর্থ পশুর পাল বা পশুর দল আর ইমিউনিটি মানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসলে হার্ড ইমিউনিটি শব্দটি মূলত পশুদের রোগপ্রতিরোধ পদ্ধতি থেকে এসেছে। ১০০ টি গরুর মধ্যে যদি ৮০ টি গরুকে কোন নির্দিষ্ট রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তবে ৮০টি গরু ঐ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করবে। তাহলে ঐ ৮০টি গরু নতুন করে ঐ নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত হবেনা। ফলে বাকি বিশটি গরুতে তাদের দ্বারা রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এভাবে গরুগুলোর মধ্যে ঐ রোগটি আর ছড়াতে পারবে না। রোগটি ধীরে ধীরে বিদায় নিবে।

তবে হার্ড ইমিউনিটি দুই ভাবে অর্জন করা যায়। একটি হল ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে আরেকটি রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে। কেননা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে শরীরে যেমন ভাইরাসটির বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়ে ঐ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে ঠিক তেমনি কেউ ভাইরাল রোগে আক্রান্ত হলেও তার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়ে ঐ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা ভাল নাকি রোগে একবার আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা ভাল? নিশ্চয়ই ভ্যাকসিন সর্বোত্তম। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যখন পোলিও ভ্যাকসিন নিবেন তখন আপনার শরীরে পোলিও রোগটি হবেনা তবে আপনার শরীরে পোলিওর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়ে থাকবে যা সারাজীবন আপনাকে পোলিও রোগ থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, পোলিও ভ্যাকসিন না নিয়েও একবার পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পোলিওর বিরুদ্ধে সারাজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করবেন, সেটাও সম্ভব। তারমানে একবার পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব লাভ করেন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেন যাতে আর কোনোদিন আপনার পোলিও না হয়। হ্যা, একবার পোলিও আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার আপনার পোলিও রোগটি হবেনা সত্য। কিন্তু প্রথমবারেই পোলিও আক্রান্ত হয়ে আপনি পঙ্গুত্ব লাভ করতে পারেন এমনকি মারাও যেতে পারেন।

তবে কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। সকল ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমানভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করা যায় না। কোনও কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হয় তা স্বল্পমেয়াদী হয় আবার কোনও কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হয় তা দীর্মেঘয়াদী। যেমন- বসন্ত একবার হলে শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হয় তা যুগের পর যুগ কার্যকর থাকে। ফলে আপনার একবার বসন্ত হলে পরবর্তী জীবনে বসন্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সবার শরীর সমানভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। যেমন- এইচআইভি ও ক্যানসার আক্রান্ত এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল থাকে। ফলে তারা সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়না এবং ভ্যাকসিন দিলেও ইমিউনিটি দুর্বল হওয়ার কারণে কোন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়না বরং ক্ষতি হতে পারে।তাই এসব ব্যক্তি রোগে আক্রান্ত হলে, মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে।

চলুন গরুর গল্পে ফিরে আসি। একটি উদাহরণ দিয়ে বলি যদিও উদাহরণটি পুরোপুরি বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ধরুন, গরুগুলোকে বোভিন-রেস্পিরেটরি ভ্যাকসিন না দিয়ে বরং গরু গুলোকে আমরা বোভিন-রেস্পিরেটরি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দিয়ে তাদেরকে বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগ প্রতিরোধক্ষম করে তুলি। দেখা গেল, পালের ১০০ টি গরুর মধ্যে ৯০টি আক্রান্ত হল, বাকি ১০টি ভাগ্যক্রমে আক্রান্ত হল না। আক্রান্ত ৯০টির মধ্যে ১০ টি গরু মারা গেল এবং ৮০টি সুস্থ হয়ে উঠলো। যে ৮০টি গরু বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগ হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলো তাদের শরীরে বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগের এন্টিবডি তৈরি হল এবং পরবর্তীতে ওই গরুগুলো আর বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগে আক্রান্ত হয়নি এবং রোগটি ছড়ায়নি। ধীরে ধীরে বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগের প্রাদুর্ভাব শেষ  হল। অবশেষে হিসেব দাঁড়ালো, মোট ৯০টি গরু জীবিত থাকলো যার ভিতর ৮০ টি গরুর শরীরে বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগের এন্টিবডি আছে। তাহলে অধিকাংশ গরুই এখন বোভিন-রেস্পিরেটরি প্রতিরোধক্ষম অর্থাৎ গরুর পালটি এখন হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছে। এই  হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে গিয়ে কিছু ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল, যেমন - ১০টি গরুকে বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আর ভালো দিকগুলো হল- অধিকাংশ গরু ইমিউনিটি অর্জন করেছে,   আক্রান্ত না হওয়া গরুগুলোর মধ্যে যেগুলোর ইমিউনিটি দুর্বল ছিল সেগুলোও কিন্তু বেঁচে গেল।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, ৮০ টি গরু যেহেতু ইমিউনিটি অর্জন করেছিল এবং পরবর্তীতে আর আক্রান্ত হয়ে রোগ ছড়ায়নি তাই ১০ টি গরু বোভিন-রেস্পিরেটরি রোগে আক্রান্ত না হওয়ার পিছনে এটি বড় একটি কারণ।  মনে রাখবেন, যে ১০টি গরু আক্রান্ত হয়নি তাদের সবার ইমিউনিটি যে সবল ছিল এমনটা নয় বরং রোগের বিস্তার কমে যাওয়ায় তারা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেনি এবং আক্রান্তও হয়নি।

কিন্তু মানুষতো গরু বা ভেড়া নয়। মানুষকে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে কতটা ক্ষতি স্বীকার করতে হবে আসুন তার একটা হিসেব কষি। যেহেতু করোনার কার্যকরী কোন টীকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, তাই করোনা বা কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করার একমাত্র উপায় অধিকাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়া। এপিডেমিওলোজির ভাষায়, বিভিন্ন রোগের হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য মোট জনগোষ্ঠীর কতটুকু অংশ আক্রান্ত হতে হবে তার বিভিন্ন শতকরা হার নির্ধারণ করা আছে। যদি করোনার ক্ষেত্রে এটি মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হয় তবে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৮০ জন মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হতে হবে। এই হিসেবে, বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হতে হবে। যদি করোনায় মৃত্যুহার শতকরা ১ ভাগও হয় তাহলে ১৪ কোটি করোনা আক্রান্তের মধ্যে বাংলাদেশের ১৪ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হবে। এটা গরু বা ভেড়ার ক্ষেত্রে হিসেব কষলেও মানুষের ক্ষেত্রে চিন্তা করাও দুরূহ ব্যাপার। যেহেতু করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনও অনেককিছু অজানা রয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই যে আমরা দীর্ঘমেয়াদী ইমিউনিটি অর্জন করবো তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়?
তাই এর সর্বোত্তম সমাধানের জন্য কার্যকরী টীকা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, গ্রহণ করতে হবে শাকসবজি-ফলমূলসহ সকল ধরনের পুষ্টিকর খাবার যাতে ইমিউনিটি আরো শক্তিশালী হয়।

বিঃদ্রঃ এখানে যে হিসেব গুলো দেখানো হয়েছে তা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবেন না। এটি বিজ্ঞানের আলোকে লেখকের নিজস্ব অভিব্যক্তি।

Saturday, May 30, 2020

কয়েক ড্রপ দিয়েছি-বাংলা মজার জোকস -Bangla Funniest Jokes about Doctor Patient

কয়েক ড্রপ দিয়েছি-বাংলা মজার জোকস -Bangla Funniest Jokes about Doctor Patient

একজন ভাল ডাক্তার কাজের ব্যস্ততার কারণে বহুদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। হঠাৎ একদিন ঠিক করলেন তিনি বনে শিকার করতে বের হবেন। ডাক্তার সাহেব তার সহকারী সামসুকে বললেন, "আমি চাই না, আমার অনুপস্থিতির কারণে আমার কোন রোগী কষ্ট পাক। তুমি আমার চেম্বার এবং রোগীদের দেখে রাখবে।"

ডাক্তার তার ভ্রমণ শেষে পরদিন চেম্বারে ফিরে আসলেন।

ডাক্তারঃ গতকাল তোমার কেমন কেটেছে?

সামসুঃ স্যার, আমি গতকাল তিনজন রোগীকে সেবা দিয়েছি। একজন মাথা ব্যথা নিয়ে এসেছিলেন, তাকে নাপা ঔষধ দিয়েছি।

ডাক্তারঃ ভাল। দ্বিতীয় জন?

সামসুঃ উনি পেট ব্যথা নিয়ে এসেছিলেন তাই ওমেপ্রাজল দিয়েছি।

ডাক্তারঃ খুব ভাল। আর তৃতীয়জন?

সামসুঃ আমি বসে ছিলাম। হঠাৎ একজন মহিলা মানুষ চেম্বারে ঢুকে পড়েন। তিনি দ্রুতগতিতে তার সব কাপড় খুলে পা সোজাকরে টেবিলের উপর শুয়ে পড়েছিলেন। আর চিৎকার করে বলেছিলেন, "আমাকে সাহায্য করুন,  আমি পাঁচ বছর যাবৎ কোনো পুরুষ দেখিনি।"

ডাক্তারঃ তুমি তাকে কি করেছো?

সামসুঃ ওনার চোখে কয়েক ফোঁটা ড্রপ দিয়েছি।

photo source: publicdoamin

পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে কেন? বাংলা মজার জোকস- Funny Bangla Jokes about Mother-Son

পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে কেন? বাংলা মজার জোকস- Funny Bangla Jokes about Mother-Son

মাঃ তুমি বাংলায় এত কম নম্বর পেয়েছে কেন?

ছেলেঃ অনুপস্থিতর কারণে।

মাঃ তুমি কি পরীক্ষার দিনে উপস্থিত থাকো নি?

ছেলেঃ আমিতো উপস্থিত ছিলাম কিন্তু আমার পাশের সিটের ছেলেটি অনুপস্থিত ছিল যার দেখে লিখতাম।

Funny Bangla Jokes about Mother-Son
photo source: publicdomain

টোকা দিলেই ব্যথা- বাংলা মজার জোকস-Doctor Patient Funny Bangla Jokes

টোকা দিলেই ব্যথা- বাংলা মজার জোকস-Doctor Patient Funny Bangla Jokes

একজন মেয়ে মানুষ ডাক্তারের চেম্বারে ছুটে এসে বললেন, "ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান"।

ডাক্তারঃ কেন? আপনার কি হয়েছে?

মেয়েঃ আমি আঙ্গুল দিয়ে শরীরের যেখানে টোকা দিচ্ছি সেখানেই প্রচন্ড ব্যথা।

ডাক্তারঃ কোথায় ব্যথা করতেছে আমাকে দেখান।

মেয়েঃ দেখেন পায়ের গোড়ালিতে টোকা দিলাম উহ্ ব্যথা, হাটুটে টোকা দিলাম উহ্ ব্যথা, কপালে টোকা দিলাম উহ্ ব্যথা। আর কোথাও দেখাতে হবে?

ডাক্তারঃ না। আমাকে একটু ভাবতে দিন। আসলে, আপনার আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গেছে।

bangla-jokes-doctor-patient-বাংলা-মজার-কৌতুক
photo source: publicdomain

আমি একটা কারেন্টের বাল্ব- বাংলা মজার জোকস-Man Women Bangla Funny Jokes

আমি একটা কারেন্টের বাল্ব- বাংলা মজার জোকস-Man Women Bangla Funny Jokes

একটি কারখানায় একজন মহিলা ও একজন পুরুষ কর্মচারীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।

মহিলা: আমি চাইলে যখন তখন বসের কাছে ছুটি নিতে পারি।

পুরুষ: সেটা কিভাবে সম্ভব?

মহিলা: অপেক্ষা করেন এবং দেখেন বলে, ছাদের উপরে পা এবং নিচে মাথা করে ঝুলিয়ে থাকলো।

বস আসলো এবং মহিলাকে বলল: আপনি এটা কি করছেন?

মহিলা: আমি একটা কারেন্টের বাল্ব।

বস: অতিরিক্ত কাজের চাপে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আপনি বাসা গিয়ে বিশ্রাম নেন।

মহিলার সাথে সাথে পুরুষটিও বাসা যেতে লাগল এবং বস পুরুষটিকে বললেন, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?

পুরুষ: কারেন্টর বাল্ব ছাড়া আমি অন্ধকারে কাজ করতে পারবো না।


photo source: publicdomain

সাতটি দমফাটা হাসির ছাত্র-শিক্ষক বাংলা জোকস- 7 Latest Funniest Bangla Jokes of Student & Teacher

সাতটি দমফাটা হাসির ছাত্র-শিক্ষক বাংলা জোকস- 7 Latest Funniest Bangla Jokes of Student & Teacher

Bangla Joke No.1: সাইনবোর্ড

Photo Source: publicdomain

শিক্ষকঃ জসিম, তুমি স্কুলে আসতে দেরি করলে কেন?
জসিমঃ স্কুলের সামনে নতুন একটি সাইনবোর্ড ছিল তাই?
শিক্ষকঃ সাইনবোর্ডের সাথে স্কুলে দেরি হওয়ার সম্পর্ক কি?
জসিমঃ সাইনবোর্ডে লেখা ছিল "সামনে স্কুল, ধীরে চলুন"।


Bangla Joke No.2: হোম ওয়ার্ক

ম্যাডামঃ পল্টুতুমি হোম ওয়ার্ক নিয়ে আসোনি কেন?
পল্টুঃ      ম্যাডামহোম ওয়ার্ক করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বাড়ির কুকুর হোম ওয়ার্কের কাগজটা খেয়ে ফেলেছে।
ম্যাডামঃ  মফিজতুমি হোম ওয়ার্ক করোনি কেন?

মফিজঃ   ম্যাডামহোম ওয়ার্ক করেছিলাম। কিন্তু কাগজটা আমি খেয়ে ফেলেছি।
ম্যাডামঃ  কেন?

মফিজঃ   কারণআমাদের বাসায় কুকুর নেই!

Bangla Joke No.3:অতীত, বর্তমান আর অনন্ত কাল ||

একদিন ব্যাকরণ ক্লাসে......

শিক্ষক : "কাল কত প্রকার ও কি কি??"

ছাত্র : "কাল ৩ প্রকার ... অতীত কাল, বর্তমান কাল আর অনন্ত কাল !!"

শিক্ষক : (অবাক হয়ে) "বলে কি !!
উদাহরণ দে তো !!"

ছাত্র : "আমি গতকাল পড়ি নাই" - এইটা অতীত কাল
"আমি এখন পড়তেছি না" -এইটা বর্তমানকাল !!"আমি কালকে পড়তে বসবো" -

এইটা অনন্ত কাল !!!

Bangla Joke No.4:টাকা নাকি জ্ঞান

শিক্ষক : রতন বলতো তোমার সামনে যদি একটা টাকার থলে এবং একটা জ্ঞানের  থলে রাখি তাহলে তুমি কোনটা নিবে…?

রতন :  আমি টাকার থলে নিবো

শিক্ষক : আমি হলে কিন্তু জ্ঞানের  থলেটাইনিতাম

রতন :  যার যা অভাব সে তো তাই নিবে

Bangla Joke No.4:হার্ট এটাক

শিক্ষকঃ মনেকর, তোমার বাবা ব্যবসা করে অনেক টাকা আয় করে। একসপ্তাহে ব্যবসায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হলো এবং সেখান থেকে তোমার মাকে ১০ হাজার টাকা দিলো। তাহলে তোমার বাবার কত অবশিষ্ট থাকলো?

ছাত্রঃ হার্ট এটাক।

Bangla Joke No.6: ক্লাসে বসে থাকলে কিছুই আবিষ্কার হতো না

পদার্থের শিক্ষক: স্যার আইজ্যাক নিউটন একদিন একটি আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন। হঠাৎ একটি আপেল গাছ থেকে তার মাথার উপর এসে পড়ল এবং তিনি অভিকর্ষ আবিষ্কার করলেন। বিষয়টি খুব আকর্ষণীয় তাই না?

ছাত্র: জি স্যার, তিনি যদি বই নিয়ে আমাদের মত ক্লাসে বসে থাকতেন তবে কিছুই আবিষ্কার হতো না।

Bangla Joke No.7:পাটিগণিত

শিক্ষকঃ আসো গণিত নিয়ে আলোচনা করি। মনেকর, তোমার কাছে দশ টাকা আছে। তুমি তোমার বাবার কাছে আরো দশ টাকা নিলে, তাহলে তোমার মোট কত টাকা হলো?

ছাত্রঃ দশ টাকা

শিক্ষকঃ আসলে, তুমি পাটীগণিত বিষয়ে কিছুই জানো না।

ছাত্রঃ আসলে, আপনি আমার  বাবার বিষয়ে কিছুই জানেন না।